“টাকা নাই আমার মায়ের লাশটা নিবেন পুলিশ ভাই”??
“বরাবর
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
আমি সুদূর কক্সবাজার থেকে জসিম উদ্দীন বলছি, সি, এন, জি নামক তিন চাকার গাড়ি দিয়ে মৃত্যুর পথযাত্রী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যাবে কি? নাকি সেই রাতের মত পুলিশ নামক নরপশুদের থাবায় আমার মা” কিংবা বাবার জিবনও রাস্তায় মাঝে পথে থেমে যাবে?
সেই দিন রাতের কথা চকরিয়া থানার অধীনে ডুলহাজারা পুলিশ ফাড়ির সামনে আমাদের সি, এন, জি থামানো হল, তখন রুগির স্বজনদের চিৎকারে আকাঁশটা ভারি হয়ে গেছে। আমি বাইক নিয়ে রোগির এক ছেলেকে নিয়ে গাড়ির সাথে সাথে ছিলাম, গাড়ি যখন পুলিশ থামাল আমি সামনে চলে আসলাম। পুলিশকে বুঝানোর চেষ্টা করলাম রাত ১১ টার সময় অন্য গাড়ি না পেয়ে বাধ্য হয়ে সি, এন, জি যোগে আমরা মালুমঘাট হাসপাতালের দিকে রওনা দিতে বাধ্য হলাম।কিন্তু পুলিশ কিছুতে গাড়ি ছেড়ে দিতে রাজি না, আমি হাত জোড় করে বললাম ভাই আমাদের কোন বড় নেতা নেই যাকে দিয়ে ফোন করালে আপনারা রোগির গাড়ি ছেড়ে দিবেন।
এমন কোন বড় লোক নয় যে আপনাদের এই মুহুর্তে টাকা দিয়ে গাড়ি ছেড়ে নিয়ে যাব, কথা গুলো যখন বলছিলাম! ইতিমধ্য আমাদের মধ্য থাকা একজন দায়িত্বে থাকা ডিউটি অফিসার দু পা ধরে কান্নাকাটি করছে! কার কথা কে শুনে আল্লাহ্ ছাড়া।
সর্বশেষ আমি বল্লাম পুলিশ ভাই এখন কি করব আপনারা সমধান দেন, একজন পুলিশ আমাকে বলল রোগি কাঁধে করে নিয়ে যান, না হয় মারা যাবে। আরেক জন কানে কানে বল্ল বুঝেন্না ভাই’ আমাদের বিশ হাজার টাকা দেন গাড়ি নিয়ে যান!! কেউ বাধা দিবেনা!!
আমি বল্লাম ভাই আপনারা একজন পুলিশ আমাদের সাথে দেন আমাদের হাসপাতালে নামিয়ে দিয়ে গাড়ি আপনাদের দিয়ে যাবে পরে যা হয় হবে! একজন পুলিশ আমাকে বল্ল (সালা) বেশি কথা বলে, তখন আমি কি করব ভেবে পাচ্ছিলাম না টাকা ছিল সাত হাজার’ পুলিশকে তিন হাজার টাকা দিতে চাইলাম নেয়না! বল্লাম সাথে আমার বাইকটা রেখে দেন, বাকি টাকা দিয়ে সকালে নিয়ে যাব! তাও কাজ হলনা চোখের জলে আমার পুরা শরীর ভিজে গেছে।
পরে ছয় হাজার টাকা দিয়ে রোগির গাড়ি ছাড়িয়ে নিলাম। তখন যে সময় অনেক বেশি দেরি হয়ে গেছে, প্রায় রাত সাড়ে বার’টা মানে দের ঘন্টা আমাদের সময় চলে গেছে। হাসপাতালে রোগিকে ডুকালাম ডাক্তার বলল রোগি মারা গেছে আধ ঘন্টা আগে আনলে রুগি বাচাঁনো যেত!!
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবার আপনি বলেন! আমরা কি করে মনকে বুঝাব! মানুষের সুখের জন্যে মানুষ বাচাঁবার জন্যে দেশে নিয়ম নীতি করা হয়, মানুষ মারার জন্যে নয়। শুধু এইখানে শেষ নয়, লাশ নিয়ে যখন আমরা বাড়ি ফিরছিলাম একই জায়গায় একই পুলিশেরা আমাদের কে আবার দাড় করাল আমাদের তেকে একজন বলল কান্না বিজড়ত কন্ঠে টাকা নাই আমার মায়ের লাশটা নিবেন পুলিশ ভাই???
সংবাদটি একান্ত ফেসবুক ব্যাবহারকারির মন্তব্য, উখিয়া নিউজ ডটকম এ সংক্রান্ত কোন দায় বহন করবে না ।
বি:দ্রঃ নিচের প্রকাশিত ব্যক্তির ফেইসবুক লিংক সহ দেওয়া হল।
পাঠকের মতামত